ভাড়া দ্বিগুণ, যাত্রী তিনগুণ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে সারা দেশে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। ঈদকে সামনে রেখে আগের মতো ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় ৯ দিনের জন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের শর্ত মানছে না গণপরিবহনগুলো। অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও সব আসনে যাত্রী তোলা হচ্ছে। দাঁড়িয়েও যাচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হলেও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে তিনগুণ। সকাল থেকে নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনের সড়কে দেখা গেছে, গাজীপুর-সায়েদাবাদ রুটের বলাকা পরিবহনের একটি গাড়ির প্রতিটি আসনেই যাত্রী। দাঁড়িয়েও আছেন কেউ কেউ। ছবি তুলতে গেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে বাসটি।

বাসটি থেকে কমলাপুর স্টেশনের সামনে নামেন যাত্রী শারাফাত হোসেন। জানতে চাইলে তিনি ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ ওই বাসের সংখ্যা কম। কয়েক দিন লকডাউন থাকায় অনেকেই বাসা থেকে বের হয়নি আজ। আজ অনেকে জরুরি কাজ সারতে একযোগে বেরিয়েছে। যাত্রী যত বেশি বাস তত কম। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসে উঠেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাড়া কিন্তু কম নেয়নি। সবার কাছ থেকেই দ্বিগুণ আদায় করা হয়েছে।’

রায়েরবাগ থেকে ঠিকানা পরিবহনে উঠেছেন বেলায়েত বিন শফি। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তার সঙ্গে দাঁড়িয়েও ছিলেন অনেক যাত্রী। কোথাও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। ভাড়া কেন বেশি নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে হেলপার বলে, ভাড়া না দিলে নেমে যান। প্রতিবাদ করার উল্টো গালাগাল শুনেছেন তিনি।

যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও দেখা গেছে রজনীগন্ধা, মালঞ্চ পরিবহন ও বিআরটিসির বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসে আগে ওঠা যাত্রীরা।

সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন আরও চিত্র দেখা গেছে। কোথাও ট্রাফিক পুলিশ বা সার্জেন্টকে বাধা দিতে বা মামলা করতে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মালিক-শ্রমিকদের বলেছি যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে যেন পুলিশ ব্যবস্থা নেয় সে জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। এখন কোন বাস কোন এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছে সেটা তো দেখতে পারছি না। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যাতে বাসে না ওঠেন সেজন্য যাত্রীদেরও অনুরোধ করছি আমরা।’