ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে

ঢাকামুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলীতে। পায়ে হেঁটে মানুষজন যেমন প্রবেশ করছে, তেমনি বিভিন্ন যানবাহনেও প্রবেশ করছে মানুষ। কর্মস্থলে যোগ দেওয়া, টিকা নেওয়া, চিকিৎসার জন্য বেশি মানুষ প্রবেশ করছেন।

গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় জীবিকার টানে কর্মস্থলে ফিরতে বেশির ভাগ মানুষ ঢাকায় আসছেন এখনও। যানবাহনগুলো চেকপোস্টে তল্লাশি করা হলেও পায়ে হেঁটে মানুষ প্রবেশ করছেন বিনা বাধায়।

নারায়ণগঞ্জ এলাকায় একটি পোশাক কারখানার গাড়ি চালান আজিজুল। পাবনা থেকে ট্রাকে চড়ে ঢাকায় এসেছেন তিনি। আজিজুল বলেন, ‘৫ তারিখ থেকে গার্মেন্টস খোলা। আমি যে অফিসারের গাড়ি চালাই, ঢাকায় না আসলে তো তিনি অফিসে যেতে পারবেন না।’

যশোর থেকে মাইক্রো বাসে শেয়ারে এসেছেন নাজিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘শুনলাম লকডাউন ওঠে যাচ্ছে। তাই অফিসে খোলার আগেই ঢাকায় চলে আসলাম।’

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে চেকপোস্টে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এমনকি তল্লাশিতে এসেছে শিথিলতা। মোটরবাইক, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাসে অনেকেই চেকপোস্টের সামনে দিয়েই প্রবেশ করছেন।

ফেরিঘাট থেকে পিকআপে করে আমিনবাজার পর্যন্ত এসেছেন মজনু মিয়া। তারপর হেঁটে গাবতলী ব্রিজ পার হয়ে প্রবেশ করলেন ঢাকায়। মজনু বলেন, ‘লকডাউন দিয়ে আবার কারখানা খুলে দেয়, এটা আবার কীসের লকডাউন? এসব শুধু মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।’

মানুষজন যেমন ঢাকায় প্রবেশ করছেন, একইরকম ভাবে ঢাকাও ছাড়ছেন অনেকে। মূলত যারা ঢাকার বাইরে চাকরি করেন তারা বেশি ঢাকা ছাড়ছেন।

গাবতলী চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বিএম সাদাত হোসেন বলেন, ‘টিকা নেওয়া, ব্যাংকে যাওয়া, গাড়ি চালক, গার্মেন্টসে কাজ করেন- এমন মানুষজন বেশি আসছেন। আমরা যাচাই-বাছাই করছি। কেউ যৌক্তিকতা দেখাতে না পারলে মামলা দেওয়া হচ্ছে।