‘গো অ্যাহেড’ বলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নির্দেশ দেয় জিয়া: তাপস

‘গো অ্যাহেড’ কমান্ডের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৫ অগাস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘‘খুনি কর্নেল রশিদ ও  ফারুক রহমান কুমিল্লায় গিয়ে খুনি মোশতাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ষড়যন্ত্র করেছিল। তারপর ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে সেনানিবাসে জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়ে এই কাজে তাকে সম্পৃক্ত করেছিল। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়েও সেদিন হত্যাকারীদের বলেছিল ‘গো অ্যাহেড’। সেনা নীতিমালায় যখন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কোনও অধস্তন কর্মকর্তাকে ‘গো অ্যাহেড’ বলে, তার মানে এটা একটা নির্দেশ, এটা কমান্ড এবং অধস্তন কর্মকর্তা সেটা পালন করতে বাধ্য থাকে। তাই জিয়াউর রহমান সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করতে। সুতরাং, জিয়াউর রহমান খুনি, সে খুনের সঙ্গে জড়িত।’

তাপস বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে সে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন জানতে পারলো, অধস্তন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে, রাষ্ট্রপতিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্ব ছিল অধস্তন কর্মকর্তাদের আটক করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া। মার্শাল ল কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। জিয়াউর রহমান সেটা নেয়নি; বরং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘জিয়া মুক্তিযোদ্ধার আবরণে মূলত পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল। এটা প্রমাণিত। একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনও রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে না। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে পারে না।’ 

বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন বাদলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।