‘নগর দরিদ্রদের কর্মসংস্থানে কাজ করছে ডিএনসিসি’

নগর দরিদ্রদের কর্মসংস্থানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।

তিনি বলেছেন, দক্ষতা এবং ন্যূনতম বিনিয়োগের সুবিধা না থাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কম মজুরিতে শ্রম বিক্রি করতে হয়, যা দারিদ্র্য বিমোচনের অন্তরায়। এ পরিস্থিতিতে সমাজে শিক্ষা গ্রহণে অপারগতা, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক নির্যাতন, অপুষ্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষ জনবল এবং সহায়ক কর্মপরিবেশ এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। নগর দরিদ্রদের দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ফরেন কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট অফিস, ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের  বাস্তবায়নাধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প কাজ করছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভাসানটেক উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত শিক্ষানবীশ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে উপকরণ ও সনদপত্র বিতরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ প্রতিনিয়ত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। উন্নয়নের পথে নানা আয়োজনে আমরা সমৃদ্ধ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প নগর দারিদ্র্য হ্রাসে একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এই প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলো দরিদ্র বসতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ ও সহায়ক পরিবেশে উপার্জন বাড়িয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা আনলেই দায়িত্ব শেষ হলো না। আমাদের সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন দূর করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মানবিক, উদার, বিজ্ঞানমনস্ক একটি উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।’

জানা গেছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ভাসানটেক এলাকায় অবস্থিত দরিদ্র বসতিতে গঠিত ‘ভোরের আলো’ ক্লাস্টারের বাছাইকৃত হতদরিদ্র সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষে ১৫০টি পাদানিসহ সেলাই মেশিন, ৩০টি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৩০ জনকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদপত্র, ১০টি বিউটি পার্লার বক্স প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে তাদের শ্রম এবং সময়ের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে বলা আশা করা যায়। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৯টি দরিদ্র বসতিতে কমিউনিটি টয়লেট, হাঁটাপথ, নর্দমা, সোলার লাইট ও ফায়ার হাইড্রেন্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়।

ডিএনসিসির প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সালেক মোল্লা, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শিলা প্রমুখ।