গেটের বাইরে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভিড় কমাতে নেই উদ্যোগ 

লাইন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছে। প্রবেশের সময় তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মুখে মাস্ক আছে কিনা, সেটাও দেখা হচ্ছে। ক্লাসে এক বেঞ্চ দূরত্ব বজায় রেখে বসছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু স্কুলের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করছেন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীরাও স্কুলে প্রবেশের আগে সহপাঠীদের সঙ্গে দলবেঁধে গল্প করছে। এ ছাড়া স্কুলের বাইরে কোনও কোনও শিক্ষার্থী-অভিভাবকের মুখে নেই মাস্ক। ভেতরে সর্তকতা থাকলে গেটের বাইরে ভিড় কমাতে স্কুলের কোনও উদ্যোগ নেই।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একই চিত্র দেখা গেলো মিরপুর মডেল একাডেমি, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল ও কলেজের সামনে। শিক্ষার্থীরা দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে স্কুলে প্রবেশ করলেও বাইরে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও তৎপরতা।  প্রায় সব প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য শিক্ষকরা তদারকি করছেন। স্কুলের ভেতরে সচেতনতামূলক ব্যানার রয়েছে। কোনও কোনও স্কুলের বাইরেও সচেতনতামূলক ব্যানার টাঙানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি ঢিলেঢালা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি ঢিলেঢালা। ছবি: নাসিরুল ইসলাম

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিভাবকদের। স্কুলের প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জটলা তৈরি করলে তাদের সর্তক করছেন শিক্ষকরা। তবে সীমানার বাইরে নিয়ম মানার কোনও চেষ্টা নেই। সন্তানকে স্কুলে নিয়ে এসে আড্ডা দিচ্ছেন বেশিরভাগ অভিভাবক। মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা গেছে তাদের মধ্যেও।

মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে একজন অভিভাবক বলেন, মাস্ক সঙ্গেই আছে, সবসময় পরি। একটানা পরে থাকলে দম বন্ধ লাগে, এজন্য খানিক সময়ের জন্য খুলেছি। আর এখন তো সামনে বাচ্চারাও নেই।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি ঢিলেঢালা। ছবি: নাসিরুল ইসলাম

সকালে মডেল একাডেমির সামনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলে দলবেঁধে আসছে শিক্ষার্থীরা। ভেতরে প্রবেশ করার সময় দূরত্ব রেখে লাইন ধরছে তারা। গেটের সামনে রয়েছে অভিভাবকদের জটলা। তবে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় অভিভাবকদের উপস্থিতি কমেছে।

পঞ্চম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাজমা বেগম বলেন, স্কুলের ভেতরে কোনও জায়গায় অভিভাবকদের বসার সুযোগ দিলে বাইরে ভিড় হতো না। অভিভাবকদেরও স্বাস্থ্যবিধি পালন করার প্রয়োজন আছে।