খোঁড়াখুঁড়িতে বেহাল পুরান ঢাকার সড়ক

পুরান ঢাকার অলিগলি এবং প্রধান সড়কগুলোতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। সদরঘাট থেকে শুরু করে বাংলাবাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ও বংশাল এলাকায় এখন দুই লেনের সড়কের এক লেনে চলতে হচ্ছে। এতে তীব্র হয়েছে যানজট। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

রিকশাচালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তা কেটে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তার একেবারে বাজে অবস্থা করে ফেলেছে। বড় গাড়িগুলো গর্তে পড়লেও ওঠে যেতে পারে কিন্তু ছোট গাড়িগুলোর গর্ত থেকে উঠতে সমস্যা হয়। মাঝেমাঝে চাকার টায়ার বা রিং স্পোক নষ্ট হয়ে যায়। অনেকদিন থেকেই আমাদের এই সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। আগে শুধু অলিতে-গলিতে এমন ছিল। এখন মেইন রোডেও এমন অবস্থা।

ভিক্টর ক্লাসিক বাসের চালক সজীব বলেন, সদরঘাট থেকে বাসে গুলিস্তান যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট। আগে জ্যাম থাকলে হয়তো আধা ঘণ্টা লাগতো। কিন্তু এখন মেইন রোডের দুরাবস্থা এবং এক লেনে যানবাহন চলাচলের কারণে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের গালমন্দ করে। কেউ কেউ ধৈর্যহারা হয়ে এই জ্যামের মধ্যে বসে না থেকে হেঁটে গন্তব্যের দিকে চলে যান।

নারগিস আক্তার নামের একজন অভিভাবক বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যেতে খুব অসুবিধা হয়। পুরো রাস্তাজুড়ে যানজট লেগে থাকে। রাস্তা পারাপার হওয়া যায় না। অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা লাগে। তাছাড়া সদরঘাট এরিয়াতে কোন ফুটওভারব্রিজ নেই। রাস্তার মাঝ দিয়েই পার হওয়া লাগে। কতোবার যে দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তবুও মাঝেমধ্যে গর্তে পা পড়ে বাচ্চারা ব্যথা পায়। এমন সমস্যা আমাদের সকলকে পোহাতে হচ্ছে। কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো তার নিশ্চয়তা নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বর্ষাকালে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এছাড়া অনেক জায়গায় ড্রেন দিয়ে ঠিকমতো পানি নামতে পারে না। মূলত জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়েছে। এর সুফল পেতে আমাদের সকলকে এই সাময়িক সমস্যা কষ্ট করে হলেও মেনে নিতে হবে। তবে আশা করছি খুব শিগগিরই এই সমস্যা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে।