দুর্গোৎসবে মুখর পুরান ঢাকা

শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দল বেঁধে পূজামণ্ডপে আসছেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। গতকাল সোমবার থেকেই মণ্ডপগুলোয় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শিশু, কিশোর, তরুণ, তরুণী থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও পূজার উৎসবে মেতে উঠেছেন।

পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে অনেক পূজা মণ্ডপ। শাঁখারিবাজারে তৈরি হয়েছে ৫টি মণ্ডপ। এছাড়া কালী মন্দির, নর্থব্রুক হল রোড, মহাকাল শিব বিগ্রহ, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, মদন মোহন দাস লেনসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় মণ্ডপ তৈরি হয়েছে।

IMG_20211012_151146মণ্ডপে আসা কিশোরী তিথি জানান, গত বছর করোনার কারণে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। তাই পূজা দেখতে পারিনি, দুর্গা মায়ের আশীর্বাদও নিতে পারিনি। এবার দিদা, দাদা, মা আর বাবার সাথে পূজা দেখতে এসেছি। খুব ভাল লাগছে আমার। অনেকগুলো মণ্ডপ ঘুরে দুর্গা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে প্রসাদ খেয়েছি। গত বছর নতুন জামা কেনা হয়নি। এবছর পরিবারের সবাই নতুন পোশাক কিনেছে বলে জানান তিথি।

অনুশ্রী নামের আরেকজন বলেন, সপরিবারে পূজা মণ্ডপে এসেছি। মণ্ডপে পূজা দিতে পেরে অনেক আনন্দিত আমরা। গত বছর মহামারির কারণে পূজামণ্ডপের আয়োজন ছিল সীমিত। তাই অতো ভাল করে দেখতে পারিনি। এ বছর পুরান ঢাকায় যতগুলো পূজামণ্ডপ হয়েছে সবগুলোতে ঘুরে ঘুরে দুর্গা মায়ের আশীর্বাদ নিয়েছি।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি পূজামণ্ডপ ঘিরে বসেছে অস্থায়ী দোকানপাট। হরেক রকমের কসমেটিকস ও খাবারের দোকান বেশি। শাঁখারিবাজার এলাকায় শাঁখা-সিঁদুরের দোকানে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

সূর্য-তারা পূজামণ্ডপের পাশে পসরা সাজিয়ে বসা সীমা রাণী দাস (৬২) নামের একজন ফুল বিক্রেতা বলেন, অন্যসময় ফুটপাতে ফুল বিক্রি করি। পূজা এলে বেচাকেনা একটু বেশি হয়। তাই মণ্ডপের আশেপাশে থাকি।

IMG_20211012_151430এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে ২৩৮টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে।

আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও  বিজয়াদশমী নামে পরিচিত।