মন্দা আবহাওয়াতেও চিড়িয়াখানায় ৩৫ হাজার

ঈদের দিন মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। যার কিছুটা প্রভাব পড়েছে রাজধানীবাসীর ঘুরে বেড়ানোতেও। আগের ঈদে যে চিড়িয়াখানায় তিল ধারণের জায়গা থাকতো না, সেখানে ভিড় ছিল তুলনামূলক কম। 

চিড়িয়াখানায় বাঘ, জেব্রা, আফ্রিকান ঘোড়া, ইমু পাখি, কানি বক, নীল ময়ূর, সাদা ময়ূর, কবুতরসহ বেশ কিছু প্রাণীর বাচ্চা হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এসেছেন দেখতে। ওদের খাঁচার সামনেই ছিল বেশি মানুষ।

IMG_5013

বর্তমানে ১৮৬ দশমিক ৬৩ একর জায়গাজুড়ে আছে মিরপুর চিড়িয়াখানা। সেখানে আছে ৬৯৩টি প্রাণী, ১২৯২টি পাখি। অ্যাকুরিয়ামে আছে ১১৪টি মাছ।

ভিড় কম থাকায় যারা এসেছিলেন তারা ঘোরাফেরা করেছেন স্বস্তিতে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকে এসেছেন অনেকেই। নারায়ণগঞ্জ থেকে সপরিবারে এসেছেন শাহীন আলম। তিনি বললেন, ‘বাচ্চারা খবরে দেখেছে বাঘের শাবক হয়েছে। তখন থেকেই দেখার জন্য উদগ্রীব। এতদিন সুযোগ পাইনি, ঈদের ছুটিতে ওদের নিয়ে এলাম।’

IMG_4955

অবশ্য বাঘের শাবকসহ অন্য সব পাখির ছানা বিশ্রামে থাকায় তাদের ছবি তোলা হয়ে পড়েছিল কষ্টসাধ্য। দর্শনার্থীরাও কেউ ওদের দেখা পেয়েছেন, কেউ পাননি।

সিয়াম, রাহাত ও শিফাত তিন বন্ধু। ডেমরা থেকে  এসেছেন তারা। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকালে রওনা হয়েছিলেন। চিড়িয়াখানায় আসার পর বৃষ্টি না হওয়ায় তাদের ভ্রমণ হয়েছে আনন্দের।

IMG_4846

সিয়াম বললেন, আমরা ভয়ে ছিলাম, যদি আরও জোরে বৃষ্টি আসে। বৃষ্টিভেজা চিড়িয়াখানা দেখতে বেশ লেগেছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সারা দিনে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ এসেছেন চিড়িয়াখানায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৫০ হাজারেরও বেশি আসতো।

IMG_4825

 

ছবি : সাজ্জাদ হোসেন