বর্জ্য অব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাবের শিকার বস্তিবাসী

বর্জ্য অব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাব ও ক্ষতির সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন নগরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা  বস্তিবাসী। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কঠিন ঢাকা কলিং প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যগত প্রভাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর এর নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি কঠিন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার এক তৃতীয়াংশই সংগ্রহ করা হয় না। সাধারণত বস্তি এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় না। উল্টো তারা যেখানে বসবাস করে যেমন খাল, বিল, নদী ও ডোবার আশেপাশে অন্য জায়গা হতে ময়লা এনে স্তূপ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নগরে যে বর্জ্য উৎপাদিত হয় তার ৭০ ভাগ পচনশীল। বর্জ্য পচে যাওয়ার পর যে পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্যগত  ক্ষতি হয় তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব  পড়ে এ জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী বলেন,  সরকার ২০২১ সালে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার প্রঞ্জাপন জারি হয়েছে কিন্তু এর বাস্তবায়ন কেউ করছে না।

ঢাকা কলিং প্রজেক্টের কারিগরি উপদেষ্টা সুমন ইসলাম বলেছেন তারা ২০২১ সালের  নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর তারা বস্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৮ ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলে একটি গবেষণা করেছেন। সে গবেষণায় দেখা গেছে বর্জ্য  অব্যস্থাপনার কারণে বস্তির মানুষ জন্মের সময় প্রতিবন্ধকতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও ক্রনিক ডিজঅর্ডারে ভোগেন। সর্দি,  জ্বর, কাশি,  জন্ডিস,  ফ্লু,  ইউরিন ইনফেকশন ও হেপাটাইটিস বি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তারা বস্তি এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও  বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনাসহ সাত দফা দাবি তারা অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন।