ঢাকার দুই সিটিতে কতদিনের কীটনাশক মজুত আছে?

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মশা নিধনের জন্য পর্যাপ্ত কীটনাশক মজুত আছে বলে দাবি দুই সিটির কর্মকর্তাদের।

ডিএসসিসি কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, তাদের আগামী এক বছর লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিংয়ের কীটনাশক মজুত আছে। অন্যদিকে, ডিএনসিসি জানিয়েছে, তাদের মজুত দিয়ে চলবে আরও আট মাস।

লার্ভিসাইডিং-এ টেমিফস ও ম্যালেরিয়া অয়েল বি কীটনাশক ব্যবহার করে। অ্যাডাল্টটিসাইড কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করছে ডেল্টামাইথিন ও ম্যালাথিওন।

ডিএসসিসি জানিয়েছে, তাদের কাছে এখন ডেল্টামাইথিন আছে ৮ লাখ ১৮ হাজার লিটার। ম্যালাথিওন আছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ লিটার ও ম্যালেরিয়া অয়েল বি আছে ১০ হাজার ২০০ লিটার। টেমিফস আছে ১০ হাজার ২৫০ লিটার।

লার্ভিসাইডিংয়ের দৈনিক চাহিদা ৩৪.৭৫ লিটার ও অ্যাডাল্টিসাইডিংয়ের চাহিদা ৪,৫৭০ লিটার।

ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেছেন, ‘আমাদের লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিংয়ের যে মজুত আছে তা দিয়ে আগামী একবছর চলবে।’

ডিএনসিসি সূত্রমতে, ম্যালাথিওন (এডাল্টিসাইড) মজুত আছে ৮ লাখ ২০ হাজার লিটার এবং এর এ অঞ্চলে প্রতিদিনের চাহিদা সাড়ে তিন হাজার লিটার। লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য টেমিফস মজুত আছে ৯ হাজার ৩০০ লিটার। এর প্রতিদিনের চাহিদা ৪০ লিটার। ম্যালেরিয়া অয়েল বি (লার্ভিসাইড) মজুত আছে, ৩ লাখ লিটার। এর প্রতিদিনের চাহিদা এক হাজার লিটার।

ডিএনসিসির উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোস্তফা সারোয়ার জানিয়েছেন ডিএনসিসিতে যে পরিমাণ কীটনাশক মজুত আছে তা দিয়ে আগামী আট মাস মশক নিয়ন্ত্রণ কাজ চলবে।