আবাসিক এলাকায় পশুর হাট, ভোগান্তি স্থানীয়দের

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর মেরাদিয়ার বনশ্রী আবাসিক এলাকায় বসেছে পশুর হাট। বাসাবাড়ি, রাস্তা, ফুটপাত, দোকান, হাসপাতাল, মসজিদের আশপাশে, সামনে ও পেছনে সর্বত্রই বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। আর মাইকে সারা দিনই চলছে উচ্চশব্দে পশু বিক্রির ঘোষণা।

দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসার কথা ঈদের চার দিন আগে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাটে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সর্বত্র পশু বেঁধে রাখার কারণে মানুষ রাস্তা-ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছে না।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পশুর হাটবনশ্রীর এইচ ব্লকের বাসিন্দা মো. জারীফ জাওয়াদ বলেন, ‘আমার বাসার দরজায় গরু বাঁধা। গাড়ি বের করতে পারি না। রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। সারা দিন মাইকে পশু বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী বিরক্ত।’

একই এলাকার দোকানদার মো. তুহিন বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে গরু বেঁধে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরে অনুরোধ করায় সরিয়ে নিয়েছেন।’

এ এলাকার আরেক বাসিন্দা অনিক হোসেন বলেন, ‘এলাকার রাস্তা আর ফুটপাত ব্যবহার করতে পারি না। রাস্তায় শুধু পশুর বর্জ্য।’ সিটি করপোরেশনের কাছে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান তিনি।

এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার আওরঙ্গজেব টিটু বলেন, ‘এই হাটটি ৪০ বছর ধরে চলছে। আগে হাট ছিল, পরে বাড়িঘর হয়েছে। আমরা এমন কোনও কাজ করবো না যাতে এলাকাবাসীর অসুবিধা হয়। ঢাকা শহরে হাট বসানোর জায়গা নেই। সবাই রাস্তার মধ্যেই হাট বসায়। আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের বলে দিয়েছি কোনও বাড়িতে যেন গরু-ছাগল ঢুকে না পড়ে।’

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। বিক্রি শুরু হবে আমাদের নির্ধারিত তারিখ থেকে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তারা থানা কিংবা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। আমরা কারও যাত্রাপথ বন্ধ করতে হাট বসাইনি। অসুবিধার কথা জানিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’