ডিএনসিসির ১০ হাজার কর্মী মাঠে থাকবে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কারে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় ঈদের দিন ১০ হাজার কর্মী ও ৬ শ গাড়ি মাঠে থাকবে।

বুধবার (৬ জুলাই) রাজধানীর ভাটারা থানার অন্তর্গত সাঈদনগর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশন নালার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র আতিকুল বলেন,  'এবার ঈদে ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় পরিষ্কারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী ও ৬ শ গাড়ি নামছে নগরকে পরিষ্কার করার জন্য।'

ডিএনসিসির কয়েকটি অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলদের অনুরোধে কোরবানির পশু জবাই করার স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমরা আগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্যান্ডেল খাটিয়ে দিতাম কিন্তু নগরবাসী সেসব জায়গায় পশু কোরবানির জন্য আসতো না। কারণ কাউকে বাধ্য করার ব্যবস্থা ছিল না।'

মেয়র আরও বলেন, নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার ৭নং ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।

মেয়র আতিক বলেন,  '৭ নং ওয়ার্ডে ৭টি পশু কোরবানির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। জায়গাগুলোতে প্যান্ডেল থাকবে। সেখানে সিটি করপোরেশনের তদারকি দল থাকবে। এসব জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।'

তিনি আরও জানান,  স্বাস্থ্যসম্মত মাংস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাবতলীতে একটি আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ডিএনসিসি।

নগরবাসীকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, 'আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিন। প্রয়োজনে আমরা গাড়ি দিয়ে আপনার বাড়িতে মাংস পৌঁছে দেব। আর আমরা পশুর বর্জ্য ভরে রাখার জন্য ব্যাগ দেব। সেগুলোতে বর্জ্য রাখবেন।'

প্রকল্প পরিদর্শনের সময় উত্তর সিটির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম,  ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বাছেকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।