পরামর্শ ছাড়াই কাঁচাবাজারের ভবন করা হয়: মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ না করে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদে পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য ভবন তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল।’

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ডিএনসিসি’র আওতাধীন গাবতলী কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করলে এ ধরনের সমস্যা হতো না। আমরা প্রকল্প নিয়ে কাজটি করে ফেললাম। এখন এর দায় আমাকে বহন করতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা আগের আয়তন অনুযায়ী দোকান চান। যার দোকানের আয়তন ৬০ স্কয়ার ফিট তাকে বর্তমান আয়তনের চারটি দোকান বরাদ্দ দিতে হবে। এগুলোকে আবার ভাঙতে হবে। অনেক বড় কর্মযজ্ঞ। তখন যার যে আয়তনের দোকান দরকার সেভাবে করলে এগুলো বরাদ্দ দিতে পারতাম।’

গাবতলী কাঁচাবাজার ভবনতিনি যোগ করেন, ‘তাছাড়া সবজি এনে এখানে ঢোকানো যাবে না। এখানে ট্রাকে সবজি ওঠানো ও নামানোয় সমস্যা হবে। সিটি করপোরেশনকে এখন নতুনভাবে কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করেই করতে হবে।’  

অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করে সরকারি অর্থ অপচয়কারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদের কেউ এখন নেই। জড়িতদের দুজন মারা গেছেন।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কাওরান বাজার থেকে স্থানান্তর করে গাবতলীতে আনা হলে ব্যবসায়ীদের কোনও ক্ষতি হবে না। আমরা এখানে আধুনিক ব্যবস্থা রাখবো। তবে এটা বাস্তবায়ন করতে একটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দোকান বড় করা করা, গাবতলী কাঁচাবাজারের পিছন দিক দিয়ে একটি রাস্তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা, আমরা সেটাও পরিকল্পনায় রেখেছি। দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে আমরা বারবার আলোচনা করেছি, কথা বলেছি। তারা আসতে রাজি আছেন। কাওরন বাজার থেকে একটি অংশ চলে যাবে যাত্রাবাড়ীতে আর একটি অংশ আসবে গাবতলীতে।’

পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন– স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলামসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা।

উল্লেখ্য, কারওয়ান বাজার থেকে সবজির পাইকারি বাজার স্থানান্তরের লক্ষে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন ২০০৬ সালে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদে ভবন নির্মাণ শুরু করে। শেষ হয় ২০১৭ সালে। বর্তমানে মহাখালীতে তৈরি ভবন কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গাবতলীর ভবনগুলো রয়েছে ডিএনসিসি’র যান্ত্রিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অফিস এবং গাড়ি রাখার জায়গা। এখানে ৬৯৭ দোকান তৈরি করা হয়েছে।