গণপরিবহনে ধর্ষণের প্রতিবাদে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির মানববন্ধন

গণপরিবহনে ধর্ষণ এবং নারীর নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদ ও প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতনের নানা নতুন ধরণ যুক্ত হচ্ছে। পুরনো আইন দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে কিনা তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।’

এ সময় তিনি গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা প্রতিহত করতে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাইকে নিজ নিজ দায়বদ্ধতা থেকে জোরালোভাবে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনা প্রতিহত করতে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে।’

গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিরোধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা বলা হলেও এর বাস্তব প্রয়োগ নেই।

এ সময় গণপরিবহনে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা। সেগুলো হলো– প্রতিটি ঘটনার মামলার বিচারকাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে, টহলরত পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, যারা সড়কপথে আছেন তাদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে, প্রকৃত অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ঘটনা প্রতিহত করতে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের শামসুন্নাহার পলি, ওয়াইডব্লিউ সিএ অব বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর বিনা অধিকারী, একশন এইড’র নুরুন্নাহার, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির অন্যতম সদস্য দিলশাত আরা, ব্লাস্টের শাহরিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আইনজীবী রুমা সুলতানা, বাংলাদেশ টুর্ড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেকুলাল ঘোষ কমল। এছাড়াও সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোবারক হোসেন।