রাজধানী থেকে মোটরসাইকেল চুরি, বিক্রি হতো নোয়াখালীতে

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো একটি চোর চক্র। টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে গিয়ে সহযোগীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করতো চক্রের সদস্যরা। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলের ওপর বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলতো তারা। পরে সুযোগ বুঝে নিজেদের তৈরি চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতো। এমনই একটি ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ও নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি উত্তরা বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন– মোহাম্মদ আলী, আানোয়ার হোসেন রুবেল, মো. সামছুল হুদা, মো. কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মো. মিজান। এ সময় ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।’

ডিবির সংবাদ সম্মেলনগোয়েন্দা বিভাগের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিবির সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম মামলাটি নিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর চার জনকে নেয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, যারা চুরি করে এবং কম টাকায় এসব চোরাই মোটরসাইকেল কেনেন, ব্যবহার করেন তারাও একই অপরাধে অপরাধী হবেন। কারোর মোটরসাইকেল চুরি হলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে ডিবি পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ জানান তিনি।

কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সহযোগীদের নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাকার উত্তরা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল মোহাম্মদ আলী। পরে ওই মোটরসাইকেলগুলো নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় বিক্রি করতো তারা।’