নৃত্য গীত আবৃত্তিতে ছায়ানটের শরৎ উৎসব

বাংলা ষড়ঋতু প্রকৃতি যেন ভুলতে বসেছে মানুষ। দেশের আবহাওয়ায় তেমনভাবে আর ছয় ঋতু পরিলক্ষিত হয় না। তবু কয়েকটি ঋতুকে উপজীব্য করে বিভিন্ন সময় উদযাপিত হয় বিভিন্ন উৎসব।

বিশেষ করে ইট-পাথরের এই শহরে আনন্দ-উৎসব খুব কমই হয়। তাই শহরের হাঁপিয়ে ওঠা মানুষগুলোর মনে প্রকৃতির আমেজে ভরিয়ে দিতে ফুলের সাজে সেজেছে ছায়ানট।

ছবি : নাসিরুল ইসলাম

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় গান নিত্য আর আবৃত্তিতে শরতের রঙে রাঙিয়েছে কিছু মানুষের চিত্ত। একক দলীয় নিত্য, গান ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে উদযাপন করা হয় শরতের উৎসব।

‘ওগো শেফালি বনের মনের কামনা’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একের পর এক একক ও দলীয় নৃত্য-গান পরিবেশন করা হয়। একক গান পরিবেশন করেন দীপ্র সীমান্ত, নয়মা ইসলাম নাজ, জাহিদ রেজা নূর, চঞ্চল বাড়াল, অসীম দত্ত অভয়া দত্ত, এ টি এম জাহাঙ্গীর, সেমন্তী মঞ্জুরি, তাহমিদ ওয়াসিফ ঋভু, সুতপা সাহা, সেজুঁতি বড়ুয়া, মাকসুদা আক্তার।

ছবি : নাসিরুল ইসলাম

‘দেখো, দেখো শুকতারা আঁখি মেলে চায়’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্য-গীত পরিবেশন করে ছায়ানটের বড়দের দল। শরতে ‘আজ কোন অতিথি’, ‘মেঘের কোলে রোদ এসেছে’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্য-গান পরিবেশন করে ছায়ানটের ছোটদের দল।

‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ’, ‘তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে’ সম্মেলক গান পরিবেশন করে ছায়ানটের বড়দের দল। মহুয়ামঞ্জুরী সুনন্দার কণ্ঠে ‘তোমরা যা বলো তাই বলো’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ।

Chayanot 1

সবশেষে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শরতের অনুষ্ঠান।