এডিস নিয়ে গবেষণায় অর্থ দেবে ডিএসসিসি: তাপস

এডিস মশা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এডিসের মৌসুম সাধারণত এপ্রিল ও মে-তে শুরু হয়। শেষ হয় অক্টোবরে। মৌসুমের পরেও এডিস এবং মৌসুমের আগে কিউলেক্স মশার বিস্তারের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের আরও বেশি গবেষণা করা প্রয়োজন। সে জন্য যদি কোনও বরাদ্দ প্রয়োজন হয়, ডিএসসিসি তা দিতেও প্রস্তুত। আমরা ঢাকাবাসীকে মশক নিয়ন্ত্রণের সুফল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। কীটপতঙ্গের বা এডিস মশার পরিবর্তন দেখছি এবং সময়সীমার পরিবর্তন দেখছি। এ সম্পর্কে আমাদের পূর্বাভাস পাওয়া প্রয়োজন। এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অক্টোবর ছাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চলমান। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করছি। ফলে মশা নিধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে। যে কারণে গতকাল পর্যন্ত ডিএসসিসি’র ৭৫টি ওয়ার্ড এলাকার মধ্যে মাত্র ৩৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটা আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমরা লক্ষ্য করছি, এটা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখন আরও বাড়ছে।’

নদীকে কেন্দ্র করে যে ঢাকার গোড়াপত্তন তা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

তাপস বলেন, ‘আমরা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে। নদীমুখী ঢাকার যে আবির্ভাব, যে গোড়াপত্তন তা আবার দৃশ্যমান হবে, ফিরে আসবে।’

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট ও দখলের আর কোনও সুযোগ থাকবে না উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এখানে শুধু খনন না, আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি। এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় ছিল। কিন্তু কোনও সংস্থা এর আগে এটা করতে পারেনি। আমরা এই দায়িত্বটা নিয়ে একে একে খুব সুন্দরভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন খনন করছি। তার সঙ্গে নদীকে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করছি। একইসঙ্গে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও শুরু করছি।’

এর আগে মেয়র নগর ভবনের সামনের রাস্তায় চলমান উন্নয়ন কাজ এবং পরে ধানমন্ডি ২/এ রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুতবিতরণ ব্যবস্থা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়াবলি পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন– প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসগুলোর কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।