গুলিস্তানে রেড জোনে দোকান, পাঁচ হকারের জেল

রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তা ও পথচারীদের চলার পথে দোকান বসানোয় পাঁচ হকারকে জেল দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খানের নেতৃত্বে আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে অষ্টম দিনের মতো গুলিস্তান রেড জোনে দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান (ছবি: ফোকাস বাংলা)

গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আহাদ পুলিশ বক্স, গুলিস্তান হল মার্কেট থেকে গোলাপ শাহ মাজার হয়ে বঙ্গ ভবন এলাকা পর্যন্ত ঘোষিত 'রেড জোনে' এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। অভিযানকালে হাঁটার পথ ও রাস্তা দখল করে দোকান প্রতিষ্ঠা করায় মোহাম্মদ  রুবেল, মাসুদ রানা, আরাফাত, সাকিব ও ফারুককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে মোহাম্মদ রুবেলকে ১৫ দিন এবং বাকি চার জনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রাস্তা ও হাঁটার পথ দখল করে দোকান স্থাপন করায় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় এই পাঁচ ব্যক্তিকে এ জেল দেওয়া হয়।

গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের সময় রাস্তায় শুয়ে এক হকারের প্রতিবাদ (ছবি: ফোকাস বাংলা)

এছাড়াও এ সময় ৯ দোকানিকে ৯টি মামলায় ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে জব্দ করা মালামাল স্পট নিলামের মাধ্যমে এক লাখ তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ ধারার ৭ ও ৮ উপধারায় এসব জরিমানা আদায় করা হয়। 

গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান (ছবি: ফোকাস বাংলা)

অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, গুলিস্তান এলাকায় ঘোষিত রেড জোনে ইতোমধ্যে আমরা সাত দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। তারপর কিছু অসাধু লোক আবারও হাঁটার পথ ও রাস্তা দখল করে সেখানে দোকান স্থাপন করেছে। তাই রেড জোনের হাঁটার পথে ও রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রেড জোন দখলমুক্ত রাখতে মেয়রের নির্দেশনা মতো নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হবে।

অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।