স্বামীকে হত্যার পর আত্মগোপনে, অবশেষে গ্রেফতার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

স্বামী মো. মহসিনকে হত্যার পর গ্রেফতার এড়াতে গত সাত বছর ধরে নাম-পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল স্ত্রী সালেহা খাতুন শিউলি ওরফে শিলা (৪৯)। ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মোহসেনের ভাই মঞ্জু মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানা একটি হত্যা মামলা করেন। বিচার কাজ শেষে ২০১৬ সালে সালেহা খাতুন শিউলিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন আদালত। এপরপর থেকে আত্মগোপনে ছিল সে। অবশেষে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্লবী থানার বারনটেক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা-পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সালেহা খাতুন শিউলি পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর শামীম মোহাম্মদ মহসিনকে বাসার মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লিঙ্গ কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। সিএনজিতে করে লাশ নির্জন জায়গায় ফেলে দেয়। এই ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হলে আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। এরপর সে আত্মগোপনে চলে যায়। তার নাম সালেহা খাতুন শিউলি। কিন্তু সে এতদিন শিলা নাম ধারন করে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। গত দুই মাস ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ওই নারীকে চিহ্নিত করে পল্লবী থানার এস আই খালিদ হাসান তন্ময়। পরে তদন্তে আসল পরিচয় উঠে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খালিদ হাসান তন্ময় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বুধবার ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও সে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখে। নিজের সঠিক নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং তথ্য গোপন করে। পরে থানায় এনে সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে প্রকৃত নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়।