১০০টি নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘নদী রক্ষা করেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে হবে। কোনোভাবেই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। দখল-দূষণের হাত থেকে নদী রক্ষা করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।’

সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে রাজধানীর শ্যামপুরে শুরু হয়েছে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধানের তিন দিনব্যাপী ১০০টি নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী–‘নদী নেবে'। সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, নদী রক্ষায় মাস্টারপ্ল্যানের কাজ সম্পন্ন। এখন দরকার প্ল্যান অব অ্যাকশন। শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্থপতি ও নগরবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, প্রভাবশালীদের দাম্ভিকতার শিকার নদী। এদের কারণেই নদী দখল ও দূষণ হচ্ছে। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উন্নয়ন। নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নদী রক্ষা কমিশনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো শক্তিশালী করারও পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান বলেন, নদী রক্ষায় ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাগুলোকে একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ রূপ দিতে হবে। জনগণ সচেতন হলে প্রভাবশালীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে। সেটি হলেই প্রাণ ফিরে পাবে নদীগুলো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিএ'র বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল শাখা) ড. এ কে এম মতিউর রহমান।

‘নদীর প্রাণ আছে, তাকে বাঁচতে দাও’–স্লোগানে ২২ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী। কাকলী প্রধান ও শিশু সংগঠন ইকরিমিকরি’র এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিটিএ। 

উল্লেখ্য, একযুগেরও বেশি সময় ধরে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্যে কাজ করছেন। এই সময়ে তার ধারণ করা বিভিন্ন আলোকচিত্রই স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।