ঈদ উপলক্ষে শোরুমে বাড়লেও বিক্রি নেই ফুটপাতে

ঈদ উপলক্ষে সবসময় জমে ওঠে নিউমার্কেটের দোকানগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কয়েক দিনের তুলনায় বেড়েছে ভিড়বাট্টা। ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রেতাদের। আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) ছুটির দিন হওয়ায় বেচাবিক্রি তুলনামূলক বেশি।

ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে নিউমার্কেটের জুতার মার্কেট। দাম বেশি হলেও সাধারণ জুতার মধ্যে ব্র্যান্ডের জুতায় আগ্রহ ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় ব্র্যান্ডের জুতায় ডিজাইন ভেদে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) নিউমার্কেটের জুতার দোকানগুলোতে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ভিড় বেশি। জুতার শোরুমগুলোর কর্মীরা বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত। ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোয় ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি। কেউ কেউ জুতা দেখছেন, আবার কেউ কিনতে ব্যস্ত।

নামি ব্রান্ড অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত বিক্রয়কর্মীরা। নারী-পুরুষ ভেদে আলাদাভাবে সাজানো হয়েছে জুতা।

ম্যানেজার মহিদুল ইসলাম বলেন, আজ ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা বেশি। রমজানের শুরু দিকে বেচাকেনা কম ছিল, কিন্তু এখন বাড়ছে। দেশি জুতার তুলনায় চায়নাগুলোর চাহিদা বেশি। এগুলোর দামও বাড়তি ডলারের দামের কারণে।

তিনি বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়ে ও শিশুদের জুতার বিক্রি বেশি। আমাদের পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। কিছু ব্র্যান্ডের দাম গতবারের মতোই রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রায় দুই হাজারের মতো নতুন ব্র্যান্ড এসেছে। জুতার গড় দাম ছেলে-মেয়ে ভেদে ভিন্ন।

শোরুমগুলোয় বেচাকেনা শুরু হলেও স্থানীয় দোকান ও ফুটপাতের চিত্র ভিন্ন। বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। নিউমার্কেটে ফুটওভারব্রিজের নিচেই অস্থায়ীভাবে বসেছে বেশ কয়েকটি জুতার দোকান। এখানে চটি থেকে সব ধরনের জুতা বিক্রি হয়।

এখানে কথা হয় ফারুক কাদিরের সঙ্গে। বলেন, আমাদের ঈদের বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি। অন্যবার পাঁচ-দশ রোজার মধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়। কিন্তু এবার ভাঙা মাস হওয়ায় এখনও শুরু হয়নি। মানুষ সাধারণত অন্যান্য পোশাক কেনার পর জুতা কিনে থাকে। ডলারের দাম বাড়ায় এবার জুতার দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, যে জুতা গত বছর ছিল ২৫০ টাকা, এবার তা হয়েছে ৩৫০ টাকার মতো। এখন মাসের শেষ দিকে বেচাকেনা নেই। ৫ বা ৬ তারিখের দিকে ভালো বেচাকেনা হবে বলে আশা তার।

তবে দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

রাজধানীর বসিলা থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মার্কেট করতে এসেছেন ফুয়াদ হাসান। তিনি জানান, ছোটখাটো একটা চাকরি করি। বেতন অল্প। অন্যান্য জিনিসের মতো জুতারও দাম বেশি। বাচ্চাদের দুই জোড়া জুতা কিনেছি ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। নিজেদের জন্য কিনতে পারিনি। জুতার দাম সহনীয় হওয়া উচিত ছিল বলে জানান তিনি।