বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ধাপে ধাপে উন্নত হচ্ছে: মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ধাপে ধাপে উন্নত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২৭ মার্চ) করপোরেশনের ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

তাপস বলেন, ‘একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বাড়বে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকতো। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হলো জায়গার সংকুলান।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি নিয়ে ৪০তম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে ৪০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে আমরা আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে।’

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতো এবং কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়িচালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল খুবই নাজুক। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতো। কিন্তু সেখান থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্র্যাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে-তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো। সেটা এখন নেই বললেই চলে।’

এ সময় এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘মঙ্গলবার যে সব এলাকায় ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সে সব এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান চালিয়েছি। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে, তেমনই জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে, তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবো। আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারবো। না, হলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন– করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া।