গণফোরামের মন্টু-সুব্রত অংশের নিবন্ধন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

গণফোরামের একাংশকে (সভাপতি- মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক- পদে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী) কেন নিবন্ধন দেওয়া হয়নি, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও ড.কামালের নেতৃত্বে গঠিত গণফোরামকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তাদের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মহসিন রশিদ।

এর আগে, ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাংগঠনিক অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য বিষয় নির্বাচনী কমিটি গঠিত হয়। বিষয় নির্বাচনী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করে।

এরপর গত ২৭ জানুয়ারি মন্টু-সুব্রত কমিটি নিবন্ধন এবং প্রতীকের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। কিন্তু গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইসি সে আবেদন খারিজ করে দেন। কারণ, ইতিমধ্যে ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্ব গণফোরাম নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে।

তাই নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে গণফোরামের একাংশ (সভাপতি- মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক- পদে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী)।