বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসির উপসচিব সামশুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব, অবৈধ নির্দশ দেওয়া, দুর্ব্যবহার ও হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে শুক্রবার তাকে সরিয়ে উপযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের পক্ষ নিয়েই ইউএনও নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হুমকি এবং অবৈধ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কমিশনে অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার। এতে তিনি জানিয়েছেন- ইউএনও’র চাপ ও হস্তক্ষেপের কারণে তাদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য ইসি একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে উপসচিব জানান।
এর আগে ইউপি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বাগেরহাটের রামপাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া মোল্লারহাট থানার ওসির বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার ৭৪টি ইউপিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু এ উপজেলার ৭৪টি চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ৩৪ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যাকে খোদ কমিশন থেকেই নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। একটি জেলায় এতো সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় কমিশন বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই আলোকে বেশ কিছু অনিয়ম পেয়ে কমিশন একজন ইউএনও ও দুজন ওসিকে প্রত্যাহার করল।
/ইএইচএস/এএইচ/