সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে আরও ৭ আইনি নোটিশ

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিলুপ্ত প্রায় পাখিদের আশ্রয়স্থল সেখানকার গাছগুলো না কাটতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আরও  এক ব্যক্তি ও ছয়টি সংগঠন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে এসব নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এএলআরডি, নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা, আইন ও শালিস কেন্দ্র-আসক  এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এসব নোটিশ পাঠান।

নোটিশে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বিনষ্টকরণ থেকে বিরত থাকতে, এ উদ্যানের শতবর্ষী ও বিলুপ্ত প্রায় পাখিদের আশ্রয়স্থল গাছগুলোকে না কাটতে এবং ইতোমধ্যে কর্তন করা বৃক্ষগুলোর জায়গায় একই প্রজাতির তিনগুণ গাছ রোপণের দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট স্থাপনের জন্য গাছ কাটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আরও একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রনাণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার এবং প্রধান স্থপতি মীর মনজুর রহমানকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন:

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছকাটা বন্ধে আইনি নোটিশ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে উন্নয়ন বন্ধ করার দাবি