পলিব্যাগের বর্জ্য বছরে ৭৮ হাজার টনেরও বেশি  

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশে এক বছরের মহামারিতে প্রায়  ৭৮ হাজার টনেরও বেশি পলিথিন ব্যাগ বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে এবং পলি ব্যাগের অবৈধ উৎপাদন দিনে অর্ধ মিলিয়ন বেড়ে গেছে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) একথা জানায়। শনিবার (৫ জুন) অনলাইনে সমীক্ষাটি একটি পলিসি ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে উন্মোচন করে প্রতিষ্ঠানটি। 

এসডো জানায়,  বেসলাইন সমীক্ষার মাধ্যমে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে দেশের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছে। দেখা গিয়েছে যে, ঢাকায় ব্যবহৃত পলিথিন ব্যাগ থেকে উৎপাদিত মোট বর্জ্য প্রায় ৫ হাজার ৯৯৬ টন এবং সারা দেশে এটি প্রায় ৭৮ হাজার ৪৩৩ টন।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ এনজিও, ও অর্গানাইজেশনের সদস্যগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ আলোচ্য অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পলিথিন ব্যাগ নিষেধাজ্ঞায় শিকড় থেকে শীর্ষ পর্যন্ত কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায়, আমাদের অবিলম্বে ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

অধিবেশনটি সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব ও এসডো চেয়ারপারসন সৈয়দ মারঘুব মোর্শেদ। এই ক্ষতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি পলি ব্যাগের সকল অবৈধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে সরকারকে অবিলম্বে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ এসএমইগুলিকে পলি ব্যাগের আরও বিকল্প উৎপাদন করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিসেস কেয়া খান সম্মানিত অতিথি হিসেবে সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন এবং জনগণকে দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করেছেন। বৈঠকে পলি ব্যাগ নিষেধাজ্ঞায় উপজেলা এবং বিশেষত সমস্ত সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলে পলি ব্যাগ নিষিদ্ধকরণ আইন কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়।