জলবায়ুবান্ধব এসি রফতানিতে সহায়তা করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ুপরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ওজোন স্তর সুরক্ষায় বাংলাদেশে চালু হওয়া হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান স্টেজ-২ এ জলবায়ুবান্ধব বিকল্প প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদিত এয়ারকুলার বিদেশে রফতানির দ্বার উন্মুক্ত হবে। এ লক্ষ্যে সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, রূপান্তরিত এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোন স্তর রক্ষা করি, নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মু্খার্জীসহ অন্যরা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওজোন ডিপ্লিটিং সাবস্ট্যান্স প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়াউল হক।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশ ওজোন স্তর রক্ষায় গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন এবং মন্ট্রিল প্রটোকলের সফলতার এক গর্বিত অংশীদার। বর্তমান করোনা মোকাবিলায় খাদ্য ও ভ্যাকসিন সংরক্ষণে রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব করার ক্ষেত্রে মন্ট্রিল প্রটোকলের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের সকল ধাপ যথাসময়ে সঠিকভাবে অতিক্রম করেছে এবং প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করছে। হাইড্রো ক্লোরো ফ্লোরোকার্বনের ওজোন স্তর ক্ষয়ের সক্ষমতা অত্যন্ত কম হলেও এর বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টির ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। তাই বর্তমানে এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপণ ও ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত এইচসিএফসি ফেজ আউট করার কাজ চলছে।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি বলেন, ওজোন স্তর ঠিক রাখার জন্য নানা দেশে নানা গবেষণা হয়েছে। এই গবেষণার মধ্যমেই কিভাবে ওজোন স্তর ঠিক রাখা যাবে তা বের করা হয়েছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সই করা সব দেশ কাজ করে যাচ্ছে। ওজোন স্তর ক্ষতিকর পদার্থগুলো ব্যবহার বন্ধ করার কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে কাজের জন্য বিশ্বের কাছে প্রশংসাও পেয়েছে। এই প্রশংসার ধারাবাহিকতা আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে চাই।

অনুষ্ঠানের শেষে ইনোভেশন পুরস্কার-২০২০, জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০ এবং পরিবেশ অলিম্পিয়াড পুরস্কার ২০২১ প্রদান করেন পরিবেশমন্ত্রী।