প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পেলেও সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বাড়েনি: সবুজ আন্দোলন

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মিথেন গ্যাস ব্যবহারের ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। একইভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে দিনে দিনে ঝুঁকিতে পড়ছে বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে প্রায় অর্ধশতবার ভূমিকম্প আঘাত করেছে। অতি জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা এখন প্রতিবছরের স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পেলেও সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বাড়েনি। বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ব প্রশমন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন।

বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় হ্রাসকরণ দিবসকে কেন্দ্র করে সরকারের সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেখা যায়। তবে সবুজ আন্দোলনের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার মনে করেন, সারাবছর বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে অগ্নিকাণ্ড, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, নদীর নাব্যতা সংকট, নদী দখল, রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে মিথেন গ্যাস বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্প বৃদ্ধির নামে বৃক্ষনিধনসহ বিভিন্ন কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না। তার মতে, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’

বিবৃতিতে দুর্যোগ প্রশমন করতে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-

** সারাদেশে অগ্নিকাণ্ড কমাতে তদারকি বাড়াতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ।
** দেশের সব সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান।
** অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা।
** দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কাজ গতিশীল করার জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বন্ধে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা।
** বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও রিসাইকেলিং ব্যবস্থা জোরদার এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সবুজ স্বেচ্ছাসেবক গার্ড’ বাহিনী তৈরি করা।
** আগামী একবছরের মধ্যে সরকারিভাবে ২০ লাখ স্বেচ্ছাসেবক তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।