পর্যাপ্ত তহবিল পেলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশ আরও অবদান রাখবে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, আগের এনডিসির (ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান) তুলনায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় তিনগুণ করে আপডেটেড এনডিসি জমা দিয়েছে। পর্যাপ্ত তহবিল ও প্রযুক্তির সাহায্য পেলে বাংলাদেশ তার অবদান আরও বাড়াবে। বাংলাদেশ কপ-২৬ থেকে একটি কার্যকর ফলাফল আশা করে।

আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্য সরকারের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কপ ২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত কেন ও'ফ্লাহার্টি মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভা হয়। সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, জলবায়ু পরিবর্তন শাখার অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান আপডেট এবং ন্যাপ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করছে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণয়ন করেছে।

received_852351408977465রাষ্ট্রদূত কেন ও'ফ্লাহার্টি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে ভাল কাজ করছে।  সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি প্রশংসনীয় এনডিসি জমাদান ব্রিটেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ব শিক্ষা নিতে চায়।

যুক্তরাজ্য সরকারের কপ-২৬ আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাজ্য বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা, লস অ্যান্ড ড্যামেজ এবং আর্টিকেল ৬ বিভিন্ন বিষয়সহ বিশ্বব্যাপী ঐক্যমতে পৌঁছাতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে।  তিনি বলেন, ব্রিটেন কপ-২৬ এ জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবভিত্তিক সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাছে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু সহায়তায় তার অবদান দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।