প্লাস্টিক দূষণে আন্তর্জাতিক সমঝোতা জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধে একটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা জরুরি। বাংলাদেশ সবসময় এ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে এবং জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনেও গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তিকে সমর্থন করবে। 

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত এক অনলাইন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব বলেন। ইউনিয়া ৫.২ এবং বিশ্ব প্লাস্টিক চুক্তি নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বরাবরই আগের অধিবেশনগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ইউএন এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেম্বলির পঞ্চম অধিবেশনেও অংশগ্রহণ করে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করবো আমরা। আশা করছি, বিশ্বের দেশগুলো একটি বৈশ্বিক চুক্তির প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করবে।’

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল’ (সিআইইএল)-এর জেনেভা ম্যানেজিং অ্যাটর্নি ডেভিড আজৌলের মতে, বাংলাদেশ সরকারকে আসন্ন জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনে আলোচনার জন্য মাছ ধরার সরঞ্জাম এবং টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত সস্তা প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষভাবে ফোকাস করতে হবে। এনভায়রনমেন্ট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি–ইআইএ এর অ্যাটর্নি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত আইনজীবী টিম গ্যাব্রিয়েল বিশ্ব প্লাস্টিক চুক্তির জন্য জাতীয় হস্তক্ষেপের ওপর দৃষ্টি আরোপ করেছেন।

কীভাবে এই চুক্তি বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে পারবে তার ওপর জোর দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টস মাউথ-এর মহাসাগরনীতি ও অর্থনীতির অধ্যাপক প্রফেসর স্টিভ ফ্লেচার।

আইপেন-এর নীতি ও প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা ভিটো এ বুসান্টে বিশ্ব প্লাস্টিক চুক্তি এবং প্লাস্টিকের বিষাক্ত প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই আইটিও নাওকি বলেন, ‘একক উদ্যোগ বিশ্ব এ সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না। আমাদের উচিত অন্য দেশগুলো এ নিয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখা এবং গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তি পরিপূর্ণ করার জন্য একযোগে কাজ করা।’

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নরডিক, ক্যারিবিয়ান ও আফ্রিকান অঞ্চলগুলো উচ্চস্তরের মন্ত্রীপর্যায়ের ঘোষণার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। তাই, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দূষণের কনভেনশনে একা থাকছে না।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মারঘুব মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই চিন্তার কারণ যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্লাস্টিক-দূষিত দেশ। দূষণ পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সমাধানের উদ্যোগও বিশ্বব্যাপী নিতে হবে।’