‘টেকসই উন্নয়নে যথাযথ ন্যাপ প্রণয়নের বিকল্প নেই’

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য একটি যথাযথ ন্যাপ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)-এর আয়োজনে এবং অ্যাওসেড, ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড, সিসিবিভিও, ডিয়াকোনিয়া এবং এসডিএস-এর সহযোগিতায় জলবায়ু পরির্বতনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (ন্যাপ) অন্তর্ভুক্তকরণ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের অংশীজন সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অঞ্চলে সিপিআরডি এবং তার পার্টনার সংগঠনগুলোর পরিচালিত সভায় প্রাপ্ত পরামর্শ, প্রস্তাবনা ও উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা অতীতে অনেক ডকুমেন্ট প্রস্তুত করেছি। এখন অতীতের সফলতা ও ব্যর্থতাগুলোর মূল্যায়ন করে শিক্ষা নিতে হবে। না হলে ন্যাপ সফল হবে না।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিসিএএস’র নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআরডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামছুদ্দোহা।

আতিক রহমান বলেন, ন্যাপ প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অঞ্চলগুলোর নিজস্ব বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে।

মো. শামছুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা ও অভিযোজন কার্যক্রমে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। পরিকল্পনাটি নারী, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ ঝুঁকি ও একইসঙ্গে স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে করণীয় বিবেচনায় নিয়ে প্রণীত হতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট এ কে এম আজাদ রহমান, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ গহর নইম ওয়ারা প্রমুখ।