পাঠ্যবইতে শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ানোর আহ্বান

দ্রুত নগরায়ণের ফলে শহরে বাড়ছে নীরব ঘাতক শব্দদূষণ। এটি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। দেশের পাঠ্যপুস্তকে শব্দদূষণের ক্ষতিকর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলে সবার মধ্যেই সচেতনতা বাড়বে।

বুধবার (১৮ মে) নটরডেম কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত শব্দ-সচেতনতা প্রশিক্ষণে অতিথিরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

পরিবেশ অধিদফতরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ আয়োজিত প্রশিক্ষণে নটরডেম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শহিদুল হাসানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ফজলে এলাহী। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীর হক, নটরডেম কলেজের উপাধ্যক্ষ ফাদার সংকর লেনার্ড রোজারিও, পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তিভাস ভিনসেন্ট রোজারিও ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব কুমার দে।

শব্দদূষণ রোধে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের প্রচারণা ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে নগরে শব্দদূষণ বাড়ছে। এতে নগরবাসী প্রতিনিয়ত নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। অতিরিক্ত শব্দদূষণে নগরের জনগণের শ্রবণশক্তি কমছে, মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে আমাদের শিক্ষার্থীদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে হর্ন বাজানো নিষেধ থাকলেও অপ্রয়োজনে অনেক চালক হর্ন বাজান।

পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীর হক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারকারী সব যানবাহনকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সবার সমন্বয়েই এই নীরব ঘাতককে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।