নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে

উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের চার নদীর ৬ পয়েন্টে পানি রবিবার (২২ মে) বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। শনিবার বিপৎসীমার বাইরে ছিল সাত পয়েন্টের পানি। রবিবার বিপৎসীমার নিচে নেমেছে সুনামগঞ্জ পয়েন্টের পানি।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি স্থানের পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানা গেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের কয়েকটি স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পর্যন্ত কিছু স্থানে সময় বিশেষে ওই পানি আরও দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।

অপরদিকে নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

কেন্দ্র জানায়, কুশিয়ারা নদীর দুই পয়েন্টে পানি কিছুটা কমেছে। এই নদীর অমলশীদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫৬ থেকে কমে রবিবার ১৩২ এবং শেওলা পয়েন্টে পানি ৫৫ থেকে কমে ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

এদিকে সুরমার তিন পয়েন্টের মধ্যে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। বাকি দুটির মধ্যে কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ৮৫ থেকে আজ ৮৪ এবং সিলেট পয়েন্টে ২৫ থেকে কমে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

এছাড়া, নতুন করে প্লাবিত হওয়া পুরনো সুরমা দিরাই পয়েন্টে ৮ থেকে আজ ৭ এবং সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে পানি ৪ থেকে বেড়ে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। 

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে—৫২ মিলিমিটার। এছাড়া সিলেটের লাটু ও শেরপুরে ৩৫ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ভারতের আসামের শিলচরে ৭১ এবং সিকিমের গ্যাংটকে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।