পরিবেশ ধ্বংসে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার আইন চায় এইচআরপিবি

পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের সঙ্গে জড়িত যে কোনো জনপ্রতিনিধিকে তার পদ থেকে অপসারণ এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস এবং পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

শনিবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবির কথা জানানো হয়।

পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা পরিবেশবাদী আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সকল ব্যক্তির সুরক্ষা প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত করাসহ সারাদেশের পরিবেশ রক্ষায় দশ দফা দাবি উত্থাপন করেছে এইচআরপিবি। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ দাবিগুলো তুলে ধরেন।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে— ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করে ক্ষমতায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কমিশনকে সরাসরি ক্যাবিনেটের আওতায় পরিচালনা করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে (প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যতীত) সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ করার আইন পাস করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতরের লোকবল বৃদ্ধি, সকল জেলায় পর্যাপ্ত লোকবলসহ অফিস স্থাপন এবং পরিবেশ রক্ষার কাজে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।’

‘নদীর পাশে যে কোনো প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে হলে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে ওই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার সংস্কৃতি বন্ধ করে আইন অনুসারে সাজা নিশ্চিত করতে হবে এবং সাজাপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষনিক সাময়িক বন্ধ ঘোষণার আইন প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল বিভাগে দক্ষ, সৎ, যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিবেশ নিয়ে পড়াশোনা করা ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা পরিবেশবাদী আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সকল ব্যক্তির সুরক্ষা প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।’

মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক ডিজি ড. সুলতানা আহমেদ, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহবার হাসান, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।