প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)।

বৃহস্পতিবার ( ২৩ জুন) এসডো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ এ আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক-পলিথিন ব্যাগের ওপর থেকে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রস্তাবনায় স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের সুবিধার্থে প্লাস্টিক ব্যাগ এবং পলিথিনের তৈরি মোড়কজোড়ক দ্রব্যাদির ওপর শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্ত হয়।

এই বিষয়ে সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ  বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সরকার সব ধরনের পলিথিন ব্যাগের ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’

এসডোর নির্বাহী পরিচালক, সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, ‘যদি এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়, তাহলে ব্যবহাযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে, যেটি আমাদের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হবে। যেহেতু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত অবৈধ বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা আছে এবং বাংলাদেশ একটি প্লাস্টিক হাবে পরিণত হবে।’

অর্থমন্ত্রীর বরাবর প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার পুনর্বিবেচনার জন্য এবং একবার ব্যবহাযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপের আবেদন করে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে এসডো।

এসডো জানায়, সাম্প্রতিক বাজেট প্রস্তাবের বিষয়ে তারা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশ হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়, যেখানে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিককে নিষিদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকোর্টের এই রায় অনুসারে, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি গেজেটে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ১২টি জেলায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য যেমন- প্লেট, গ্লাস, কাপ, চামচ, স্ট্র, স্যাশে, যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এবং অপচনশীল পণ্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেয়।