হাওরে পুনর্বাসন: আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করার আহ্বান

হাওরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা। সোমবার (৪ জুলাই) প্রায় ৭০০ জাতীয় ও স্থানীয় এনজিও সুশীল সমাজ সংগঠনের নেটওয়ার্ক বিডিসিএসও আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।

বিডিসিএসও জাতীয় সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিডিসিএসও সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। আয়োজকদের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিডিসিএসও সিলেট বিভাগের সভাপতি তোফাজ্জল সোহেল।

মূল বক্তব্যে তোফাজ্জল সোহেল বলেন, জাতিসংঘসহ কয়েকটি সংস্থা সম্প্রতি বন্যায় আক্রান্ত এলাকার ক্ষয়-ক্ষতির ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে। পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তাও যাচাই করেছে। তবে আমরা সবসময়ের মতো এই বন্যায় স্থানীয় মানুষ ও সংস্থাগুলোর ভূমিকায় অনুপ্রাণিত। আমরা মনে করি, তাদের এই ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে স্থানীয় সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তহবিল প্রদান করা উচিত। কারণ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয়দের প্রয়োজন ভালো বোঝেন।

বাবুল আকতার বলেন, বাইরে থেকে কোনও ত্রাণ সহায়তা এলে তা অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে হওয়া উচিত। এতে সঠিক মানুষের কাছে সঠিক সহায়তা পৌঁছাবে।

এওয়ার্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন স্থানীয়দের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা তাদের খবর সবচেয়ে ভালো জানি। তাই আমাদের পাশে রেখে কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে সেটা টেকসই হবে।

দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, আইএমও-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এখন জরুরিভিত্তিতে হাওরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এটা শুধু বন্যা নয়, এটা জলবদ্ধতা। এর প্রভাব ব্যাপক। প্রতিটি জেলার জন্য সচিব পর্যায়ের একজন ত্রাণ কমিশনার নিয়োগ করাও জরুরি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এডাব সিলেট বিভাগের সমন্বয়কারী বাবুল আকতার, এডাব সিলেট জেলা সভাপতি এ টি এম বদরুল ইসলাম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  সিলেটের অধ্যাপক জহিরুল হক শাকিল।