‘নদী না বাঁচলে শ্রমিকদের বাঁচানো যাবে না’

‘নদী দূষণের কারণে আমিনবাজার এলাকার শতকরা ৭৫ ভাগ শ্রমিকের এখন কাজ নেই। যার যার জায়গা থেকে সবাইকে নদী বাঁচানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নদী না বাঁচলে ঘাট বাঁচবে না। ঘাট না বাঁচলে শ্রমিকদের বাঁচানো যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) তুরাগ নদীকে দূষণ ও দখলমুক্ত করার প্রত্যয়ে আমিন বাজার ব্রিজ ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের যৌথ আয়োজনে একটি কমিউনিটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আমিনবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাটে আয়োজিত এ সভাটি সঞ্চালনা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মির্জা শওকত আলী, সভাপতিত্ব করেন মিরপুর আমিনবাজার ব্রিজ ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মাদ জয়নাল আবেদিন।  সভায় বক্তব্য দেন— নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইবনুল সাইদ রানা।   বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ ওয়াজেদ আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মির্জা শওকত আলী বলেন, ‘নদী রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে, নদী দূষণবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

তুরাগ নদী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রাহমান বলেন, ‘আমরা নদীকে ধ্বংস করার মাধ্যমে নিজেদের ধ্বংস তৈরি করেছি, যা আমাদের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে হয়েছে। তাই যার যার জায়গা থেকে নদী বাঁচানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নদী না বাঁচলে ঘাট বাঁচবে না। আর  ঘাট না বাঁচলে শ্রমিকদের বাঁচানো যাবে না।’ আমিনবাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী লাল বলেন, ‘নদী দূষণের কারণে আমিনবাজার এলাকার শতকরা ৭৫ শতাংশ শ্রমিকেরই এখন কাজ নেই।’