জাতির পিতা বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সূচনা করেন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ জারি করে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ) আইন জারি করে দেশে বন, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণে জাতির পিতার অভূতপূর্ব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যারা স্বাধীনতা সহ্য করতে পারেনি, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার খুনের বিচার করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন। তার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার দিকনির্দেশনায় জনগণের বাস-উপযোগী টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে আমাদের সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারলেই জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন; অতিরিক্ত সচিব পরিবেশ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর নির্মিত ‘বাঙালির কালরাত’ শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

পরিবেশমন্ত্রী এর আগে সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ নিহত সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এ সময় মন্ত্রণালয় ও অধীন দফতর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।