পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে নজর দিচ্ছে সরকার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সব উন্নয়নই যেন পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহায়ক হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য সরকার গ্রিন ও ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভেলপমেন্ট নীতিমালা অনুসরণ করছে। স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো সব পরিকল্পনা প্রণয়নেই এ নীতি অনুসরণ করা হবে।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিনে ‘নেভিগেটিং দ্য ক্লাইমেট ডিসকোর্স: ফ্রম কপ-২৮ ইনসাইটস টু কপ-২৯ এসপিরেসন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড় ও জলধার কাটা বন্ধ করা হবে। পাহাড়, বন দখল করে কোনও উন্নয়ন করা যাবে না। পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের অভিযোজনে ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। সেখানে সরকার সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। যদি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ শুধু জলবায়ুতে না দিতে হতো, তাহলে আমাদের রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো এ সবে ব্যয় করতে পারতাম।’

জলবায়ু সুরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা রাখা সম্ভব নয়। শতভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও তা পার পেয়ে যাবে। ধারণা করা হয়, তা ২ দশমিক ৫ বা ২ দশমিক ৬ এ চলে যাবে। যতই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাক, আমাদের ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে।’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় সবাই যদি একমত হয়, তাহলে সমাধান সম্ভব। প্রক্রিয়াটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন, তাদের আমরা এক জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমরা সবাইকে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবো। সেই প্ল্যাটফর্ম থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের সব অর্থায়ন ও পরিকল্পনা করা হবে।’