ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে স্পিকার ও মন্ত্রীদের শোক

একুশে পদকপ্রাপ্ত নন্দিত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীরে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ ডেপুটি স্পিকার, বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে পাঠানো এসব শোক বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাত ১০টা ৫৬ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান ফকির আলমগীর। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, দেশবরেণ্য গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শােকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর এর মৃত্যুতে শোকবার্তায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর হয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে, মহান মুক্তিযুদ্ধে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে এবং নব্বইয়ের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা রাখা ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ফকির আলমগীর তার গানের মধ্যে দিয়ে এ দেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এক শোক বার্তায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ফকির আলমগীর ছিলেন এ দেশের কিংবদন্তীতুল্য গণসংগীত শিল্পী। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।’

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এক শোকবার্তায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, ফকির আলমগীর স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  ৬৬ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর গান এ দেশের সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও গণসংগীতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এই বরেণ্য গণসংগীত শিল্পীর  মৃত‍্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এদিকে, একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এই গণসংগীতশিল্পীর চির প্রস্থানে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান ও কুমার বিশ্বজিৎ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফকির আলমগীরের মৃত্যু বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের গণসংগীত প্রচার ও প্রসারে তার অবদান অসামান্য। 

আরও পড়ুন...

করোনার কাছে পরাজিত হলেন ফকির আলমগীর