‘আগের রাতেই ৬০ ভাগ ব্যালট কাটা হয়’

প্রেস কনফারেন্স

‘যশোরে আগের রাতেই ৬০ ভাগ ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। বাদ বাকি ৪০ ভাগ ভোটের জন্য একই দলের সমর্থকরা সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্র দখল শুরু করেছে। সকাল ১০ টার মধ্যে ১৯টি কেন্দ্র দখলে নিয়েছে তারা।’ এসব অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও জেলা পৌরসভার বর্তমান মেয়র মারুফুল ইসলাম।

বুধবার বেলা পৌনে ১টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তিনি দখল হওয়া কেন্দ্রগুলোর ভোট বাতিল করে নতুন করে ভোটগ্রহণের দাবি জানান।

মেয়রের অভিযোগ, ‘চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সব কেন্দ্র এবং ইনস্টিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমএসটিপি বালিকা বিদ্যালয়, জিলা স্কুল, আজিমাবাদ, শঙ্করপুর গোলাম প্যাটেল, আবদুস সামাদ হাইস্কুল, পিটিআইসহ প্রায় ৩০টি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেছে সরকারি দলের সমর্থকরা। বেশিরভাগ কেন্দ্রে ৮-১০ জন ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন। অন্যদের ভোট দেওয়ার কোনও সুযোগ মেলেনি। সরকারি দলের সমর্থকরা তাদের জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশবাসী দেখেছেন সকাল ৮টায় ব্যালট বাক্স ভর্তি অবস্থায় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আমার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যে কয়জন এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন, তাদের সবাইকেই বের করে দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রমাণ হয়েছে এই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা ভাবতেও পারছে না। তারা জানে, ভোট সুষ্ঠু হলে তাদের করুণ পরিণতি হবে।’

তিনি বলেন, ‘যশোরে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়ার প্রভাব পার্শ্ববর্তী পৌরসভাগুলোতেও পড়েছে। মণিরামপুরে তিনটি ও নওয়াপাড়ায় চারটি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে সরকারি দলের প্রার্থীর লোকজন। বাঘারপাড়া ও চৌগাছায়ও বল প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

/এসটি/