ইতালিতে নোয়াখালী বাংকার সমিতির বনভোজন

বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতির বনভোজনে অতিথিরানোয়াখালীসহ ইতালির রোমের বাঙালি কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি। প্রতি বছরের মতো এবারও সংগঠনটি বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে। এর শিরোনাম ছিল ‘লাগো দি রিভা ভেরদে’। প্রবাস জীবনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে দিনব্যাপী এই চড়ুইভাতিতে অংশ নেন প্রবাসীরা।

বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমদ। তাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, ‘আগামীতেও বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি রোমে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। এই ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটিই বিদেশিদের কাছে আমাদের বাঙালি জাতি ও দেশের সুনাম ধরে রাখবে।’

বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতির সভাপতি মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মিয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গাজী মশিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহতাব হোসেন, বাংলাদেশ সমিতি ইতালির নির্বাচন কমিশনার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলী আম্বর আশরাফ, ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, বাংলাদেশ সমিতি ইতালির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল আলম, ইতালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাসির উদ্দিন বলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. তৌহিদ কাদেরসহ অনেকে।

বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতির বনভোজনে অতিথিরাবর্ণাঢ্য বনভোজন আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন রোমের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান অপু, সালেহ আহমেদ বাবু, বেলাল হোসেন, হাজী নুরুল ইসলাম, আনোয়ার আজিম সিমনে, আলা উদ্দিন শিমুল, সোহেল চৌধুরী, ওমর ফারুক পিন্টু, সুমন টেরমিনি, মো. মাসুদ, মো. হাসান ছাড়াও ফেনী জেলা সমিতির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনজুরুল আলম, জামাল উদ্দিন, মুজাহিদ খাদেম, শেখ মামুন, মো. জহিরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন সাকন।

পুরো আয়োজনে নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য ছিল বিভিন্ন খেলাধুলা। পুরস্কার হিসেবে ছিল বিমান টিকিটসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। বার্ষিক এই বনভোজনে বাংলাদেশ বাংকার সমিতি রোম, বাংলাদেশ বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইতালি, একতা ব্যবসায়ী সমিতি রোম ইতালি, যুব উন্নয়ন ব্যবসায়ী সমিতি, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি, নোয়াখালী জেলা সমিতি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক, আঞ্চলিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং টেরমিনি ও ভিক্টোরিও, কর্নেলিয়া, তরপিনাত্তা, সেন্ত সেল্লেসহ রোমের বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতারা ছিলেন।