হুন্ডি ব্যবসায়ীদের নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুবাই কনস্যুলেট

অবৈধভাবে দেশে টাকা পাঠানোর সকল পথ বন্ধ ও আমিরাতে বসবাসরত সকল হুন্ডি ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা করে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ের কনস্যুলেট জেনারেল।

রবিবার (১২ মে) শারজায় বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের আয়োজনে ‘বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ ও অবৈধপথ বন্ধের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা’য় এ তথ্য জানানো হয়। কনস্যুলেটের শ্রম সচিব ফকির মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আমিরাতের বিভিন্ন ব্যাংক, এক্সচেঞ্জ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের প্রতিনিধিরা। 

আলোচনার শুরুতে হুন্ডি প্রতিরোধে পরিকল্পনার কথা জানান কনস্যুলেট জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। বিশেষ করে আরব আমিরাত দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কিংবা যেকোনও অস্থিতিশীল সময়েও বাংলাদেশের অর্থনৈতিকে সচল রেখেছেন।’

জামাল হোসেন বলেন, ‘গত মে মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রথম স্থানে ছিল আমিরাত। মে মাসের মোট প্রেরিত রেমিট্যান্স ছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার, তারমধ্যে কেবল আমিরাত থেকে গিয়েছে ৩৩ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার। সকলে যদি বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠান তাহলে এই সংখ্যা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেত। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বিশেষ করে প্রবাসীদের সচেতন হতে হবে। ‘

বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রেমিট্যান্স প্রেরণ করে প্রবাসীরা যেন সুফল পায় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিমানবন্দরে হয়রানি, বিমান ভাড়া ও সার্ভিসের যেসকল অভিযোগ আছে সেদিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। তিনি হুন্ডি ব্যবসায়ীদের লাগাম টানতে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সকল উদ্যোগে আমিরাত সরকারের নিবন্ধিত সমিতির সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন।

হুন্ডি ২

আলোচনায় অংশ নিয়ে আল হারমাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসের বলেন, ‘দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে আমাদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিজ নিজ কোম্পানির কর্মীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য আহ্বান করতে হবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের রেমিট্যান্স সঠিকভাবে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক, আল ফারদান এক্সচেঞ্জ, জিসিসি এক্সচেঞ্জ, আল রোস্তমানি এক্সচেঞ্জ, ইন্ডেক্স এক্সচেঞ্জ, ব্রাক ব্যাংকসহ উল্লেখযোগ্য ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়ে হুন্ডি বন্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।