ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস

কলেমা তৈয়্যব লেখা ব্যানার ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শতশত মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে অংশ নিয়েছেন শোভা যাত্রায়। আঞ্জুমানের পতাকাসহ নানা বাণীলিখিত ব্যানার-ফেস্টুনে বর্নিল এই যাত্রা। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়কে জশনে জুলুস (র‌্যালি) বের হয়। প্রতিবছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুস (র‍্যালি) করে আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়া।

জশনে জুলুস (ছবি: জুবায়ের আহমেদ)পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত এই জশনে জুলুসে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আগত মাইজভাণ্ডারির ভক্তরা। সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা। মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানীর নেতৃত্বে জশনে জুলুসে অংশ নেন ভক্তরা।  নারায়ে তাকবির, নারায়ে রেসালাত ও গাউসিয়তের মধ্য দিয়ে মাইজভাণ্ডারির অনুসারীরা শেষ করেন র‌্যালি।

জশনে জুলুস (ছবি: জুবায়ের আহমেদ)আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে জশনে জুলুস শুরু হয় মাইজভাণ্ডারিয়া দরবারের মাধ্যমে। চট্টগ্রামের বলুয়ার দীঘি পাড়ের খানকায়ে কাদেরিয়া ছৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া হতো আর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ময়দানে সমাবেশ হতো। সেই ধারাবাহিকতায় এখন জশনে জুলুস আরও বড় পরিসরে আয়োজিত হচ্ছে।’

জশনে জুলুস (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে এই দিনে বিশ্বনবী হয়রত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস হিজরি সনের ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হয়।