বুদ্ধিজীবী দিবসে জামায়াতের আলোচনাসভা





বক্তব্য রাখছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদের মেধা,মনন ও প্রজ্ঞা দেশ ও জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে।’



বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য ড. আহসান হাবীব, রমনা থানা সেক্রেটারি আবু জিসান, জামায়াত নেতা আতাউর রহমান সরকার ও আখতার হোসাইন প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে মহান বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’ তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যথাযথ মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং শহীদদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জনের পর যারা জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি, তারাই এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের শক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হারের অন্তর্ধান এখনও রহস্যাবৃত। তার কী পরিণতি হয়েছে এখনও পর্যন্ত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মূলত জহির রায়হান বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলেই রহস্য প্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে। ’
সেলিম উদ্দিন বলেন,‘স্বাধীনতার চার দশক পরেও দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবীরা নানাভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, জাতি তা জানতে চায়। ধারণা করা হয় যে, শহীদ জহির রায়হানের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ, ডকুমেন্টারি-প্রামাণ্য চিত্র সংরক্ষিত থাকার কারণেই তাকে অপহরণ ও পরবর্তীতে হত্যা করা হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত জাতির কাছে প্রকাশ পেলে, যাদের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার আশঙ্কা ছিল, মূলত তারাই এসব হত্যাকাণ্ড ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।’ তিনি এই অপশক্তি সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এসটিএস/এপিএইচ/আপ-এসএনএইচ/