ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই ভারতের সঙ্গে চুক্তি সরকারের: জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীজামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এ সব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।’ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, দেশপ্রেমিক জনগণ তিস্তা ও অন্যান্য ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না পেলে এ সব চুক্তি মেনে নেবে না। তাড়াহুড়ো করে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো অথচ দীর্ঘ দিনের কাঙ্ক্ষিত এবং বহুল আলোচিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কেন স্বাক্ষরিত হলো না? এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে জনগণ স্পষ্ট জবাব চায়। জনগণকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এ সব চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার চরম অনৈতিক কাজ করেছে। কাজেই এ সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের কোনও নৈতিক বৈধতা নেই।’

ডা. শফিক বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলোর এখনও সমাধান হয়নি। ’

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী পানি না দেওয়াসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলোর সমাধানে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু ভারতের স্বার্থে ২২টি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও দীর্ঘ প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের যে আশ্বাস দিলেন, এ ধরনের আশ্বাস তারা অতীতেও দিয়েছেন। কিন্তু তারা সেই আশ্বাস অনুযায়ী কাজ করেননি। ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, এ চুক্তি আদৌ  হবে কিনা?’

/এসটিএস/বিএল/

আরও পড়ুন:
মোদি-হাসিনা বৈঠকে ২২ চুক্তি সই