‘বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির মূল্য দেবে বন্ধু ভারত সরকার’

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি- ফোকাস বাংলা)তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানিবণ্টনের আলোচনায় আরও অগ্রগতি হওয়ায় এই চুক্তি সম্পাদন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘তিস্তা চুক্তি কেবল সময়ের অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গা চুক্তি করেছেন। একটু অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন, তিস্তা চুক্তিও হবে।’ সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে বন্ধু ভারত সরকার মূল্য দেবে, সেটা আমরা আশা করি। ভারতের জনগণের নেতা নরেন্দ্র মোদি আমাদের দেশের জনগণের কথা ভেবে অনতিবিলম্বে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের যথাযথ উদ্যোগ নেবেন। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় আসীন হবে।’
রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে— বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত ২২টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির সবই প্রকাশ্য। এ চুক্তির লাইন বাই লাইন পড়ে দেখুন। এসব চুক্তিতে কোথাও দেশ বিক্রি বা দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হয়েছে, এর প্রমাণ দেখিয়ে দিতে হবে। আর তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তা প্রমাণ করতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় মঞ্চে উপবিষ্ট বক্তারা (ছবি- ফোকাস বাংলা)সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরে বিএনপি বলেছিল, ফেনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর বাংলাদেশের থাকবে না, ভারতের অংশ হয়ে যাবে। এখন কি এটা ভারতের অংশ? আমরা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে যেকোনও চুক্তি করব। তাতে কে, কী মনে করল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’
যারা দেশ বিক্রির কথা বলছেন, তারা পাকিস্তানের কাছে বিবেক আর ইসলামাবাদের কাছে অন্তর বিক্রি করেছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তারা প্রোপাগান্ডা চালায় যে ভারত থেকে কিছুই আদায় করা যায়নি। আমাদের (আওয়ামী লীগ) পলিসি হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমাদের পাওনা আদায় করে নেওয়া। বৈরিতা করে কখনও পাওনা আদায় করা যায় না।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভায় ওবায়দুল কাদের জানান, দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যেকোনও ত্যাগ তিনি স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও পিছুটান নেই। নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে অনেক আশা করে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তার মুখ রক্ষা করতে হবে। আগামী নির্বাচনের জন্য জনগণের সামনে একটি কোন্দলমুক্ত, আধুনিক, স্মার্ট দল উপহার দিতে চাই।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ প্রমুখ।
/পিএইচসি/টিআর/