গণমাধ্যমকে সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে: রিজভী


রুহুল কবির রিজভীসরকারের হুকুম ছাড়া যেন দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট খবরও প্রকাশ না পায়, সেজন্য গণমাধ্যমকে সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল)বিকালে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের মানুষের সকল অধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার পর্যন্ত তারা হরণ করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। জনবিচ্ছিন্ন পদক্ষেপে সরকারের মধ্যে সর্বদা আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন শুরু হলে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আবার তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাছাড়া অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলে গুরুত্বহীনভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।কোনও কোনও টেলিভিশন চ্যানেলে তা সম্পূর্ণ ব্লাকআউট করা হয়েছে। সরকারের সরাসরি নির্দেশেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন,‘দেশের অনেক জাতীয় দৈনিকেও দেখা গেছে, খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হয়নি। গণমাধ্যমকে বেপরোয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারের ওপর অঘোষিত সেন্সরশিপের মাধ্যমে।সরকারের অপকর্ম ঢাকতেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরকার হস্তক্ষেপ চালায়।সরকারের এই আচরণ স্বেচ্ছাচারী, অগণতান্ত্রিক ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘সরকার প্রধান ভারতে গিয়ে যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, তা দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী। নইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিতে সরকার এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠতো না। সত্য প্রকাশ হওয়ার ভয়েই তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিয়েছে।’
/সিএ/ এপিএইচ/