জুনে শুরু হচ্ছে আ.লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান!

আওয়ামী লীগসাত বছর বিরতি দিয়ে আবারও সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি সদস্য সংগ্রহ শুরু করেছিল দলটি। সে সময় দুই কোটি সদস্য সংগ্রহ করার টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় ৫০টি জেলায় সদস্য সংগ্রহের কাজ করার পর ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে থেমে যায় ওই কার্যক্রম। তবে আগামী জুন মাস থেকে আবারও নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

দলটির নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী ২০ মে মতবিনিময় সভায় জেলার নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠান থেকে সদস্য সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জেলার নেতাদের হাতে দলের গঠণতন্ত্র, ঘোষণাপত্র, নির্বাচনী ইশতেহার ও বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের ভিডিও চিত্র নেতাদের হাতে তুলে দেবেন। এই ভিডিও চিত্র ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে পৌঁছে দিয়ে তা পাড়া-মহল্লা, বাজারে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। এগুলোর পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন চিত্রও নিয়ে নির্মাণ করা ভিডিও চিত্রও দেওয়া হবে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী ২০ মে জেলার নেতাদের সঙ্গে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতবিনিময় করবেন। ওই সভায় তিনি তৃণমূল নেতাদের দিক-নির্দেশনা দেবেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরুর দিনক্ষণ ওইদিনই নির্ধারণ করা হবে।’

দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রায় সাত বছর সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যওি প্রতি তিন বছর পর সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। নানা বৈরি পরিস্থিতিতে আমরা তা করতে পারিনি।  তবে আশা করছি আগামী ১ জুন থেকে এ অভিযান শুরু করতে পারব আমরা।’

নীতি-নির্ধারকরা জানান, সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা হবে, দল গতিশীল হবে। ওই সূত্রগুলো আরও জানায়, নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এসব কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে একদিকে সংগঠন চাঙ্গা হবে, অপরদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতিও গ্রহণ করা সম্ভব হবে। এই দুই পরিকল্পনা নিয়ে মূলত সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

দলের অপর সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘নানা কারণে ২০১০ সালের পর সদস্য সংগ্রহের কাজ বন্ধ ছিল। সামনে নির্বাচন তাই দলকে গতিশীল করতে এ অভিযান আবারও শুরু করা হবে।’

/এসএনএইচ/