বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেশন সেন্টারের ‘পুস্পগুচ্ছ’ ও ‘রাজদর্শন’ হলে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতারে বিএনপি চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন। এই ইফতার অনুষ্ঠানেই প্রথমবারের মতো আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর বিএনপির ইফতারে খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচন একতরফাভাবে আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভয় পায়। তারা চুরি করে ক্ষমতায় বসার কথা ভাবছে। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। কিন্তু আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, এই দেশে আর একতরফা কোনও নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। মানুষও বুঝে গেছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করলে তার ফল কী হয়।’
ইফতারে পার্বত্য জেলাগুলোয় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানান খালেদা জিয়া। এসময় তিনি আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানান। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সরকার দরিদ্র মানুষের কথা ভাবে না, তাদের কথা ভেবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারা লুটপাট করতেই ব্যস্ত।’ এসময় বিরোধী দলকে দমন করতে সরকার রমজান মাসেও গুম-খুনের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। এ প্রসঙ্গে নরসিংদী ছাত্রদলের নেতা সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান খালেদা জিয়া।
ইফতারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়: এরশাদ
/এসটিএস/টিআর/